এবার বিএনপি নির্বাচনে না এসে তাদের বিদেশি প্রভুদের দিয়ে দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই খেলোয়াড়দের (বিদেশি) খেলতে দেওয়া যাবে না। গতকাল মঙ্গলবার ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় রোমের পারকো ডেই প্রিনসিপি গ্র্যান্ড হোটেলে এক নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচন হলে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। কাজেই তারা নির্বাচন চায় না। তারা কিছু বিদেশি প্রভুর পদলেহন করে। পদলেহন করে তাদের দিয়ে দেশের মানুষকে কষ্ট দিতে চায়। আজ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে গতিধারা সেটাকে ব্যাহত করতে চায়। কারণ ক্ষমতায় থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বানিয়ে যে লোভ এসে গেছে, ওইটাই তাদের কাছে সবচেয়ে বড়।
তিনি আরও বলেন, ওরা তো ক্ষমতায় ছিল। অবৈধভাবে জিয়াউর রহমান এসেছে। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এরশাদ এসেছে, এরপর খালেদা জিয়া, গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে এসেছে। তারা এ দেশের কল্যাণ কোনোদিন চাইবে না—চায়নি। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। তারা ভোটে মানুষের কাছে দাঁড়াতে পারেনি। তারা চায় এ দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হবে এবং সেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা; এটাই তাদের উদ্দেশ্য।
এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অশুভ শক্তির পদচারণা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।
বিএনপি কোন মুখে জনগণের কাছে ভোট চাইবে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, ক্ষমতায় এসে আর্মি রুলস লঙ্ঘন করে সেনা প্রধান নিজেকে আবার নিজে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেন। ঘোষণা দিয়ে তার রাজনীতি শুরু। ওই অবস্থায় হ্যাঁ-না ভোট, রাষ্ট্রপতি ভোট, সব ভোটই তো ভুয়া! এভাবে চুরি করে করেই তো...সেই জেনারেলের পকেট থেকে যে দলের সৃষ্টি, জনগণের কাছে যাওয়ার তাদের মুখটা কোথায়! আর অগ্নি সন্ত্রাস করে যাদের হত্যা করেছে তাদের সামনে তারা কোন মুখে ভোট চাইবে!